একজন প্রযুক্তি প্রেমী সুখী মানুষের কল্পকাহিনীঃ খন্ড-২
হঠাৎ করে ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই মার্টিন দার কথা মনে পড়ে গেল। আমার বিশ্বাস আজকের দিনটা আমার খুব ভাল যাবে। কে জানে দিনের শেষে হয়তবা কোন শুভ মূহর্ত অপেক্ষা করছে আমার জন্য। আজো দাদার সাথে আমার প্রথম দেখা করার দিনটা স্মৃতির পাতায় অম্লান হয়ে আছে। একদিন সকালে হঠাৎ করেই ফোন করে দাদাকে বলি, আমি আপনার সাথে দেখা করতে চাই। দাদা খুবই ব্যাস্ত মানুষ, কিন্তু দিনটা যেহেতু শুক্রবার ছিল তাই তিনি একটা নির্দিষ্ট স্থানে আসতে বললেন। টিপটিপ করে বৃষ্টি পরছিল । আমি আর আমার বন্ধু নির্দিষ্ঠ স্থানে পৌছাতেই গাড়ির ভেতর থেকে ফোনে কথা বলতে বলতে চশমা পড়া একজন আমাদেরকে গাড়িতে ওঠার ইঙ্গিত দিলেন। আসলে তিনিই জোসেফ মার্টিন, আমাদের প্রিয় মার্টিন দা।

দাদা তার দীর্ঘ ২০ বছরের প্রফেশনাল জীবনে অনেক ঘাত প্রতিঘাত পেরিয়ে নিজের অবস্থান তৈরি করেছেন। একেবারে শূণ্য থেকে শুরু করে কয়েকটা ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তুলেছেন তার সততা, সৃজনশীলতা, আর বাস্তবের প্রতিটা মূহর্তকে একজন আদর্শ নেতার মত পরিচালনা করার দূরদর্শী দক্ষতা দ্বারা। আমাদের কথামালার এক পর্যায়ে উঠে আসল আমাদের দেশে রোবটিক্স শিল্পকে প্রতিষ্ঠিা করার সম্ভাবনার বিষয়টি। দাদা বলছিলেন বর্তমান সময়ে প্রফেশনাল জীবনে সৎ থাকাটা বেশ কষ্টসাধ্য। আসলে প্রোডাক্ট মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে এত বেশি প্রতিযোগিতা চলে যে প্রোডাক্টের গুণগত মানের চেয়ে দাম এবং বাইরের চাকচিক্যই মুখ্য হয়ে দাড়ায়। তাই নতুন কিছু শুরু করা দরকার যেন অন্যদের সাথে প্রতিযোগিতায় নামতে না হয়।
