একজন প্রযুক্তি প্রেমী সুখী মানুষের কল্পকাহিনীঃ খন্ড-৪

আমাদের মধ্যে অনেক কথা হল। আলোচনার এক পর্যায়ে দাদা বলছিলেন আমি ঠিক করেছি আমাদের প্রথম প্রজেক্ট হবে ভূমিকম্প এবং অগ্নিকান্ড এর উপর। এ বিষয়ে কয়েকজন টেকনোলজিস্ট এর সাথেও কথা হয়েছে, যে কোন প্রয়োজনে তোমরা তাদের কাছ থেকেও টেকনিক্যাল সাহায্য নিতে পারবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা দ্রুত সফলতা পাব আশাকরি।
………………………………………………………………………………..
এর পর কিছু একটা দেখানোর জন্য দাদা ল্যাপটপটা চালু করলেন। আমাদেরকে কিছু ফাইল দখিয়ে বললেন এই তথ্যগুলা আমাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছুদিন আগে মাত্র পাঁচ মিনিটের জন্য একটা ওয়েবসাইট এই গোপন তথ্যগুলো ফাঁশ করে। মাত্র পাঁচ মিনিটেই সামগ্র ওযেব দুনিয়ায় সাইটটি আলোচনার ঝড় তোলে। এত বেশি ইনফরমেশন ছিল সাইটটিতে, যে আমি কোনকিছু না দেখেই ইনফরমেশনগুলো ডাউনলোড করতে শুরু করি। পরবর্তীতে সাইটা ব্যান্ড করে দেয়া হয়। সাইটটা ব্যান্ড হলেও আমার মত অনেকেই যে যার মত পেরেছে ইনফরমেশনগুলো ডাউনলোড করে রেখেছে। প্রায় এক সপ্তাহ যাবৎ বিভিন্ন মিডিয়াতে ইনফরমেশনগুলো নিয়ে তুমুল আলোচনা হয়েছে এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিল কয়েকটা দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, কূতনৈতিক, সামরিক এবং প্রশাসনিক তথ্য।
কিন্তু আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি হচ্ছে, এতে বিছু বৈজ্ঞানিক তথ্য আছে যেগুলো সম্পর্কে কোন মিডিয়াতে এখনো আলোচনা হতে দেখিনি। আমি এগুলো যাচাই বাছাই করে দেখলাম, এই ইনফরমেশনগুলো এখন থেকে প্রায় দশ বছরের পুরোনো।
দশ বছর আগে একটা টেকনোলজি সম্মেলন থেকে ফেরার সময়, সেই সময়ের বিভিন্ন দেশের প্রায় ১৫ জন নামকরা বিজ্ঞানী নিখোঁজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে তাদের লাশও আর কোথাও পাওয়া যায় নি। এই তথ্যগুলো তাদেরই। এর মধ্যে এমন বেশ কিছু বৈজ্ঞানিক তত্ব আছে যেগুলো এখনো কোথাও প্রকাশিত হয়নি। তোমরা নিশ্চই বুঝতে পারছ তথ্যগুলো আমাদের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। নতুন এবং ভিন্নধর্মী কিছু সৃষ্টি করার ক্ষেত্রে এই বৈজ্ঞানিক তত্বগুলো আমাদেরকে দারুনভাবে সাহায্য করবে।
এতক্ষণে সন্ধা হয়ে এসেছে। দাদার কথাগুলোর মাঝে আমরা যেন আমাদের ভবিষ্যতের পথ খুঁজতেছিলাম, আমাদের আর কোন কিছুই মাথায় ছিল না। কখন যে সময় চলে গেছে বুঝতেই পারিনি। যা হোক দাদার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সবাই ফিরে এলাম।
দাদা আমাদেরকে সকল ডকুমেন্টস এর একটা কপি দিয়েছিলেন। আমার বন্ধুরাও দাদার মত একজন আদর্শ দিক নির্দেশক পেয়ে খুব খুঁশি। কাজের প্রতি তাদের আগ্রহ অনেক বেড়ে গেছে। তারা যেন এমন কিছু পেয়েছে যেন এখন কোন বাধাই আর বাঁধা না। আসলে দাদার কাছ থেকে এমন কিছু নিয়ে ফিরলাম যা কখনো আমাদের পরিকল্পনাতেই আসেনি, আমরা যেন সবকিছু চাওয়ার আগেই সব পেয়ে গেছি।
………………………………………………………………………………..
দৃষ্টি আকর্ষণ
একজন প্রযুক্তি প্রেমী সুখী মানুষের কল্পকাহিনী সম্পূর্ণরূপে কাল্পনিক । বাস্তবের সাথে এর কোন মিল নেই।

Find us on Facebook

Categories