যে ভাবে বাংলাদেশ থেকে পেপাল ব্যবহার করতে পারবেন

paypal


বর্তমান সময় জনপ্রিয় অনলাইন প্রসেসর হচ্ছে পেপাল। বাংলাদেশে পেপাল সুবিধা না থাকার কারণে পেমেন্ট নেয়া এবং দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়। কেউ কেউ তাদের বিদেশে অবস্থিত পরিচতজনের মাধ্যমে নিবন্ধন করে পেপাল ব্যবহার করছেন। আমি বিদেশে পরিচিত কেউ থাকলে উনার নাম ঠিকানা এবং উনার মাধ্যমে ভেরিফাই করে ব্যবহার করতেই উপদেশ দিব। কারণ সমস্যায় পড়লে সহযোগিতা পাওয়া যাবে। যাই হোক যাদের কেউ নাই তাদের জন্য নিচের পদ্ধতি।
নিবন্ধন:
পেপাল ব্যবহার করতে চাইলে প্রথমেই আপনাকে নিবন্ধন করতে হবে। তাই প্রথমেই paypal.com গিয়ে আপনাকে একটা একাউন্ট খুলে নিতে হবে। পারসোনাল একাউন্ট লেনদেনের ক্ষেত্রে পেপাল ঝামেলা করে থাকে বেশি। তাই আমি premier একাউন্ট নিবন্ধন করতে সাজেস্ট করব। এখন প্রশ্ন আসতে পারে পেপালে তো বাংলাদেশের নাম নাই, তাহলে কিভাবে নিবন্ধন করব? হুম আমরা বাংলাদেশের ঠিকানা দিয়ে নিবন্ধন করব না, করব এশিয়ান কোন দেশের ঠিকানা দিয়ে।  আমি মালয়শিয়ার এড্রেস ব্যবহার করে ব্যবহার করছি প্রায় ১.৫ বছর ধরে কোন প্রকার ঝামেলা ছাড়াই। গুগলে সার্চ দিয়ে মালয়শিয়ার একটা ঠিকানা ও ফোন নম্বর সংগ্রহ করে ফেলুন। তারপর পেপালে গিয়ে নিবন্ধন করে ফেলুন। নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি অত্যন্ত সহজ তাই এখানে আর বিস্তারিত আলোচনা করছি না।
 ভেরিফিকেশন:
ভেরিফিকেশনের জন্য আপনার পেওনিয়ার মাস্টার কার্ড এবং কার্ডে ব্যাল্যান্স থাকতে হবে। যদি থাকে তাহলে প্রথমেই আপনি আপনার পেপাল একাউন্টে ঢুকে এড্রেসটা নোট করে নিন। তারপর পেওনিয়ার একাউন্টে লগিন করে এডিট প্রোফাইলে গিয়ে পেপালের যে এড্রেস ঐ এড্রেস টা বসিয়ে দিন। তবে মনে রাখতে হবে পেওনিয়ারে কান্ট্রি পরিবর্তন করা যায় না। তাই কান্ট্রি পরিবর্তন নিয়ে চিন্তা না করলেও চলবে। কারণ পেপাল র্কাডের কান্ট্রি চেক করে দেখে না। এই সুযোগটাই আমাদের কাজ সহজ করে দিয়েছে। যাই পেওনিয়ার কার্ডের ঠিকানা পরিবর্তন করার পর পেপালে আপনার কার্ডটি যোগ করে দিন। পেপাল পেওনিয়ার কার্ড থেকে ১.৯৬ ডলারের মত কেটে নিবে। আর পেওনিয়ার কার্ডের ট্রান্সসেকশন লিস্টে PP*0356CODE এরকম কোড দেখতে পাবেন। এখানে ০৩৫৬ হলো ভেরিফিকেশন কোড। আপনি আপনার ট্রান্সসেকশন লিস্ট থেকে দেখে নোট করে নিন। তারপর পেপালে লগিন করে ভেরিফিকেশন কোড দিয়ে ভেরিফাই করে নিন। এই তো হয়ে গেল পেপাল ভেরিফিকেশন। ভেরিফিকেশন প্রসেস সমাপ্ত হওয়ার পর আপনি পেওনিয়ার কার্ডের একাউন্টে লগিন করে আপনার আগের ঠিকানা দিয়ে সেভ করে বেরিয়ে আসুন। আপনার কাজ শেষ
তবে কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে। অসর্তকতার জন্য ধরা খাওয়ার সম্ভবনা ৯৯%। আপনি যদি পেপালে জিপি দিয়ে লগিন করেন তাহলে সব সময় জিপি দিয়েই করতে হবে। যদি বাংলালায়ন ব্যবহার করেন তাহলে বাংলালায়ন দিয়ে লগিন করবেন। আর ইলিগ্যাল লেনদেন করবেন না। অপ্রয়োজনে পেপাল একাউন্টে লগিন করবেন না। আনভেরিফাইড একাউন্টের সাথে লেনদেন করবেন না। প্রথম ছয়মাস ছোট ছোট লেনদেন করবেন।

Find us on Facebook

Categories